‘বানানো তথ্য’ দিয়ে রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ!

‘বানানো তথ্য’ দিয়ে রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ!
ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে জেরবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মুখ তাঁকে খুলতেই হতো। পর্তুগিজ তারকার হয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর আইনজীবী

ক্যাথরিন মায়োরগার আনা ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েই কত কথা! নতুন করে অভিযোগ করেছেন আরও তিন নারী। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তাই মুখ খুলতেই হতো। পর্তুগিজ তারকার কথাগুলোই বলেছেন তাঁর আইনজীবী। এক বিবৃতিতে রোনালদোর আইনজীবী পিটার ক্রিস্টিয়ানসেন বলেছেন, জাল তথ্যাদির ওপর নির্ভর করে রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ও বর্তমানে শিক্ষিকা মায়োরগার অভিযোগ, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি নৈশক্লাবে রোনালদো তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। নতুন করে তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লাস ভেগাস পুলিশ এই মামলার পুনঃ তদন্ত শুরু করেছে। এ ছাড়া জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পেইগেল এ নিয়ে ফলাও করে প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। রোনালদো এর আগে দুবার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

এর মধ্যে আবার মায়োরগার আইনজীবী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ফোনে তিন নারী রোনালদোর বিপক্ষে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন। চলমান এই জটিলতার পরিপ্রেক্ষিতে রোনালদোর হয়ে বিবৃতিটি দিলেন তাঁর আইনজীবী। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর মক্কেল ‘বাধ্য হয়েই আর চুপ থাকতে পারছে না’। জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড ‘সব অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন’ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডার স্পেইগেল রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রকাশ করেছিল। খবরটিকে তখন ‘ভুয়া’ বলে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। রোনালদোর আইনজীবী বলেছিলেন, ওই সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ডার স্পেইগেল অবশ্য তাদের অবস্থান থেকে পিছু হটেনি। ধর্ষণের অভিযোগ ধামাচাপা দিতে মায়োরগার মুখ বন্ধ রাখতে তাঁর সঙ্গে রোনালদোর গোপন চুক্তিপত্রও প্রকাশ করেছে তারা।

ক্রিস্টিয়ানসেন বিবৃতিতে বলেছেন ‘একটি সংবাদমাধ্যম দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে চুরি করা ডিজিটাল তথ্যাদি নিজেদের মতো করে ব্যবহার করে’ এই প্রতিবেদন করেছে। সেই তথ্যাদির ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুরোপুরি পরিবর্তন করে বানানো হয়েছে’ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

মায়োরগা ২০০৯ সালে রোনালদোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলার পর ডার স্পেইগেল তা গত বছর ছেপেছিল। তবে সেই নারীর কাছ থেকে অনুমতি না মেলায় গত বছর এ নিয়ে বেশি দূর এগোয়নি সংবাদমাধ্যমটি। কিন্তু ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলনের পর ক্যাথরিন নিজের পরিচয় প্রকাশের সাহস পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে ক্রিস্টিয়াসেন বিবৃতিতে বলেছেন, এই অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর মক্কেলের অবস্থানের কোনো নড়চড় হয়নি। আগের মতোই ‘২০০৯ সালে লাস ভেগাসে যা ঘটেছিল সেটি পুরোপুরি সম্মতিসূচক’।

রোনালদোর এই আইনজীবী আরও বলেছেন, মুখ বন্ধ রাখতে চুক্তিপত্রের ব্যাপারটি জুভেন্টাস তারকা অস্বীকার করছেন না। কিন্তু ‘কাজটি করার পেছনে যে কারণ ছিল তা বিকৃত করা হয়েছে’। বিবৃতিতে যোগ করা হয়, ‘এই চুক্তিপত্র কোনো অবস্থাতেই দোষীর স্বীকারোক্তি নয়। অভিযোগটির নিষ্পত্তি করতে রোনালদো শুধু তাঁর আইনজীবীর কথা শুনেছেন।’

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment